সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বখাটের বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (১৪ আগস্ট) সকালে ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সম্পর্কিত খবর
উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নে লোকনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ধর্ষক কনক হাসান (২৫)। সে একই গ্রামের সৌদিআরব প্রবাসী আব্দুল কাদেরের ছেলে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, পঞ্চাশি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে কিছুদিন আগে বিয়ের প্রস্তাব দেয় কনক। এতে রাজি না হওয়ায় সে ওই শিক্ষার্থীকে স্কুলে যাতায়াতের পথে প্রতিদিন উত্ত্যক্ত করতো সে। এ ঘটনায় পারিবারিকভাবে সাবধান করা হলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত ৩ টার দিকে বখাটে কনক ওই শিক্ষার্থীর বসতঘরের ভিটিতে সিঁধ কেটে শোয়ার কক্ষে ঢুকে। একপর্যায়ে সে শিক্ষার্থীর মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ সময় তার চিৎকারে মা-বাবা পাশের কক্ষ থেকে দৌঁড়ে এগিয়ে গেলে ধর্ষক কনক পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বখাটে কনক স্থানীয় কিশোরী-তরুণীদের নিয়মিত উত্যক্ত করে। কিছুদিন আগে সে অপকর্ম করতে গিয়ে জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়। পুলিশের হাতে একাধিকবার আটকও হয়েছিলো।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবির জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রবিবার সকালে ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষককে আটক করা সম্ভব হয়নি, তবে অভিযান চলছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/মনির/এআই